শিশুশ্রম বলতে আমরা সাধারনত অল্প বয়সে কাজ করাকে বুঝি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রেই এই শ্রমের শেষ নয়, পড়াশুনায়ও রয়েছে এর প্রভাব। আমাদের দেশেও পড়াশুনার ক্ষেত্রে শিশুরা বিভিন্ন ভাবে অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে থাকে। এমনি একজন শিক্ষার্থী জুয়েনা (১৪)। অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করেও দিনে তিনটি প্রাইভেট, স্কুলের ক্লাস, এবং বাড়িতে পড়াশুনা করে। এত ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কেটে যায়। সুযোগ হয়না বিনোদন বা খেলাধুলা করার। স্কুলে ক্লাস ও প্রাইভেটের পড়া ঠিক রাখতে অনেক সময় খাবারের ও অনিয়ম হয়ে যায় জুয়েনার।
দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ঠিকমতো পড়াশুনা করতে পারেনি জুয়েনা, স্কুল খোলার পর পড়ার চাপ বেড়ে গেছে। তাই বিনোদন বা খেলাধুলা করার ইচ্ছে থাকলেও তাকে সেই সময় দেন না জুয়েনা’র মা মাহমুদা খানম।
এ বিষয়ে ৯৩ নং চরফ্যাসন পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা আকুল রানি মজুমদার জানান, প্রতিটি মানুষেরই বিনোদনের প্রয়োজর রয়েছে। পড়াশুনা করে বলে বিনোদনের নিবেনা এমনটা নয়। পড়াশুনার পাশাপাশি সন্তানকে বিনোদনের সময় দেওয়া একজন বাবা-মায়ের দায়িত্ব। তাই প্রতিটি বাবা-মায়ের তার সন্তানকে পড়াশুনা, খাবার, ঘুম ও বিনোদন নেওয়ার রুটিন করে দেওয়া উচিৎ। এতে প্রতিটি সন্তানই সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।
শিশুশ্রমের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরতে প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান আজকের শিশু। অনুষ্ঠানটি শুনতে পান রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ, প্রতি শুক্রবার বিকেল ৫:৪০ মিনিটে। সম্পাদনায় জেসমিন, উপস্থাপনায় ফারিহা ইসলাম।