চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড। এখানেই কাঁচা ঘরে থাকেন সাবানা বেগম, বয়স (২৪)। স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। প্রতিদিন সকালবেলা হাতে শাবল, বেলচা নিয়ে বেরিয়ে যান কাজের উদ্দেশ্যে। কাজ না থাকলে আয়ও থাকেনা। সেই ঘরেই আছে ছয় বছরের ছেলে এবং পাঁচ মাস বয়সী মেয়ে ।
সাবানা বেগম বলেন, আগে ভাবতাম পেটভরে খাওয়ালেই হলো। কিন্তু আমার ছেলেটা মাঝে মাঝে অসুস্থ হতো, তখন ডাক্তারের কাছে গেলে শুনি অপুষ্টি থেকে এমন হয়েছে। তিনি ডাক্তারের পরামর্শে খাবারে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। শুধু ভাত না খাবারে থাকে ডিম, দেশি ফল, শাকসবজি যতটুকু সম্ভব খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। টানাটানির সংসার, কিন্তু সন্তানদের বড় করতে হলে তো ঠিক মতো খাওয়াতে হবে। কম খরচে পুষ্টি হবে এজন্য বাড়িতে করছেন সবজি চাষ। ওরা যেন মায়ের মতো কষ্ট না পায় এই চেষ্টা করছেন সাবানা বেগম।
চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাকলুকুর রহমান শিশুর পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানান, শিশুর খাবারে সুষম পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে ঘরে তৈরি আধা শক্ত, আধা তরল খাবারের জোগান দিতে হবে। এই পরিপূরক খাবারে ডাল, দানাদার শস্য ও চিনি থাকা উচিত। এতে সে ভালো মানের প্রোটিন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি ও অন্যান্য অনুপুষ্টি লাভ করবে। যখন শিশু নিজে থেকে খেতে পারার ক্ষমতা অর্জন করে, তখন মা-বাবার উচিত তাকে খাবার খেতে সাহায্য করা। সব বয়সের শিশুর প্রতিদিনের খাবারে সবজি ও দেশি ফলমূল থাকা প্রয়োজন।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক “আজকের শিশু” আয়োজনটি শুনতে পান প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বিকাল ০৫:০০টায়। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ।