৭নং পশ্চিম চর ঊমেদ এলাকায় বসবাস করেন মোঃ জসিম (৩২)। অতীতে তার বাবা গরু, মহিষ পালন করতেন তবে তখন এই লালন-পালনের সংখ্যা ছিলো অনেক। বাবা‘র মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে পশু পালন ছেড়ে দেন। এরপর কৃষি কাজ করেই জীবীকা নির্বাহ করেন।
কয়েক বছর পর মনে হলো কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু লালন-পালনে বেশ সুবিদা রয়েছে। ফসলি জমিতে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস গো-খাদ্যের যোগান হবে। তাই প্রথমে দুইটি গরু ক্রয় করে লালন-পালন করেন তবে তা প্রায় আট বছর আগের কথা। এই আট বছরে তিনি দুইটি গরু থেকে বেশ কয়েকটি গরু বিক্রি করেন। গত কোরবানীর ঈদে দুটি গরু প্রায় দেড় লক্ষ (১,৫০,০০০) টাকা বিক্রি করেছেন। এখন তার ঘরে তিনটি গরু আছে। কাচাঁ ঘাসের পাশাপাশি তিনটি গরুরর খাবারে প্রতিদিন প্রায় তিনশত টাকা ব্যয় হয়।
তিনি আরো জানান, কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুর যতœ করা যায় খুব সহজেই। যখন কাজ থাকে করেন আর অবসর সময়ে পশুর খাবারে সংগ্রহ, বজ্র পরিস্কার ইত্যাদি করে থাকেন। এতে বাড়তি একটা আয়ের সুযোগ হয়। ভবিষ্যতে তার তিনটি গরুর সাথে উন্নত জাতের আরো দুইদি গরু ক্রয় করে একটি খামার দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জসিম। এই স্বপ্ন পূরন হলে অতীতের হাড়িয়ে যাওয়া কর্ম সংস্থান পুনঃরায় ফিরেয়ে পাবেন।
সফলতার গল্প নিয়ে রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “সফল উদ্যেগক্তা”। শুনতে কান পাতুন সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ০৮:২৫ টায় ৯৯.০ এফএম এ।
Recent Comments