একটি সুস্থ জাতি পেতে প্রয়োজন একজন শিক্ষিত মা। অথচ বাংলাদেশের ৬৬% কিশোরী এখনো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, যার প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ। আগামী প্রজন্মে সুস্থভাবে বেড়ে উঠা এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্য বিবাহ একটি বড় বাধা। সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়ে যায় চরমাদ্রাজ ২ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরী হাজেরার (১৫)। ইচ্ছে না থাকার পরও পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বপ্ন ছিলো পড়াশোনা করে ভালো একটা চাকরি করবে কিন্তু হাজেরার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেলো। হাজেরা এখন এক সন্তানের জননী। নিজের স্বপ্ন পূরণ না হলেও সন্তানকে পড়া-শুনা করিয়ে চাকরি করানোর আশা তার।
আর্থিক অবস্থার কারনে মেয়ে কে ভালো করে পড়াশুনা করাতে পারেননি মা আছিয়া বেগম (২৫)। মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে থাকা কালিন বিয়ে দিয়েছেন। কম বয়সে বিয়ে হলে মেয়েদের যে শারীরিক ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে জানতেন না তিনি। যদি জানতেন তাহলে মেয়েকে এতো অল্প বয়সে বিয়ে দিতেন না।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অমিতাভ দে, জানান বাল্যবিবাহ আসলে একটি সমাজিক ব্যাধি । ১৮ বছরের আগে কন্যা শিশুকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিলে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই বাল্যবিবাহের কারণে মেয়েদের অকালে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘আমরা কিশোর আমরা কিশোরী’ প্রচারিত হয় সোমবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ফাতেমা জাহান এবং সম্পাদনায় জেসমিন।