ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের শখের বসে হাঁসের খামার দিয়েছে মোঃ ইলিয়াস শরীফ। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ডালিরহাট গ্রামের পাকা সড়কের পাশেই অস্থায়ী তাবু বানিয়ে এই খামার তৈরি করেছেন। প্রতিদিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খামারের পেছনেই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনজন কর্মচারী।
খামারের মালিক ইলিয়াস শরীফ জানান, শখের বসে তার বন্ধুর অনুপ্রেরনায় হাসঁ পালনে উপযুক্ত জায়গা হিসেবে আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ১৮ একর জমি লিজ নিয়ে খামারটি শুরু করে। প্রথমে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রায় ৫০০০ হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন। কিন্তু বিভিন্ন রোগ বালাই এর জন্য বাচ্চা গুলো মারা যায় এতে বেশ লোকসানে পড়ে শুরুতে। পরবর্তীতে হাল ছেড়ে না দিয়ে নেত্রকোনা থেকে ২ হাজার ৫০০ জিল্ডিং হাঁস ক্রয় করে। এতে তার ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়। তিন চার মাস পরেই পচিঁশ’শ হাঁস ডিম দেওয়া শুরু করে এখন বর্তমানে তার হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৯শত হাঁসের ডিম বাজারে বিক্রি করে, যার বাজার মূল্য ২০ থেকে ২১ হাজার টাকার বেশি। এই খামারে প্রতিদিন প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হলেও ৫০০০-৬০০০ টাকা করে এক থেকে দেড় মাস ধরে লাভ হয় বলে জানান।
এছাড়া তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে বান্যিজিক ভাবে ১০ হাজার হাঁস পালন করবে বলে জানান। তার মতে অনেক শিক্ষিত বেকার যুকবকরা ঘরে বসে না থেকে অল্প পরিমানে জায়গা নিয়ে কিছু টাকা বিনিযোগ করে হাঁসের খামার দিলে বছর খানিক পরেই তাদের সংসারে স্বচ্ছতা আসবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, দেশে শিক্ষিত যুব সমাজ রয়েছে শিক্ষার মানও বেড়েছে কিন্তু কর্মসংস্থ্যার জন্য বেকার হয়ে পড়ছে তারা। উদ্যোক্তা হতে হলে প্রানী সম্পদ দিয়ে হওয়া সম্ভব। এছাড়াও তিনি বলেন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামের হাঁসের খামারের কথা শুনেছি। এটি খুব ভাল উদ্যোগ, যা উপজেলার অন্যান্য যুবকদের হাঁসের খামার তৈরিতে উৎসাহিত করবে। কোন সমস্যা হলে খামারীরাও প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগযোগ করেন।
প্রতিবেদনে সুরভী।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।