এরই মধ্যে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় অঞ্চলে। সরজমিনে গিয়ে চরফ্যাসনের বেতুঁয়া, মাদ্রাজ ও সামরাজ এলাকা ঘুরে দেখা যায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বসত-ভিটা ও উঁচু জমি। এদিকে আজ সকাল ১০টার দিকে প্রবল জোয়ারে চর কুকরী-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা আজ তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন অন্তত তিন হাজার মানুষ। জনসাধারণের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেতুয়া এলাকার হেলাল, রাবেয়া ও অলিউদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। দিনের বেলা বাড়িতে থাকলেও পরিস্থিতি বুঝে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলেন তারা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। নি¤œাঞ্চল ও ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারি পরিচালক মেসবাউর রশীদ।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মৌসুমী মনীষা, সালমা, জেসমিন, উম্মে নিশিরেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।

আমাদের সাথেই থাকুন