ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল ফিতর। ঈদ আসার আগে ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে চরফ্যাসনে। ঈদের আমেজকে ঘিরে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানান প্রস্তুতি।
আজ রবিবার ১৬ মার্চ ( রবিবার) চরফ্যাসন বাজার প্রাঙ্গনে ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় সকল ধরনের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর।
চরফ্যাসন বাজারের শিমলা গার্মেন্টস মালিক ইলিয়াস মাষ্টার জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কালেকশন আনা হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। পোশাক বিক্রি করা সবে মাত্র শুরু হয়েছে। এ বছর মালামালের দাম বেশি কিন্তু শিমলা গামেন্টস কর্তৃক ক্রেতাদের কাছে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে পোশাক। শিমলা গার্মেন্টস এ বছর ভালো ভালো পোশাক এনেছে।
শিমলা গার্মেন্টস স্টাফ মো: জুয়েল বলেন, নারীদের জন্য এ বছর নতুন এসেছে সারারা, গারারা, নায়রা আর শাড়ী কাঞ্জীভরম, তানাবানাসহ আরো অনেক শাড়ী। এবছর সবচেয়ে বেশি চলছে তানাবানা শাড়ী যার মুল্য প্রায় ৩,৫০০টাকা, কাঞ্জিভরম শাড়ী ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। পুরুষদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবী, পায়জামা, শাট,প্যান্ট। শিশুদের জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর ফ্রগ।
রেহানা গার্মেন্টস এন্ড টেইলার্স স্টাফ মাসুদ বলেন, খুব ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায় রেহানা গার্মেন্টস এন্ড টেইর্লাসে। সব বয়সী মানুষের জন্য রয়েছে বাহারি রকমের পোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য রয়েছে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি-পিসের সমাহার। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশি তবে মানে ভালো।
আব্দুল্লাপুর থেকে আসা ক্রেতা সুমাইয়া জানান, নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। প্রায় সব কিছু কেনাকাটা হয়ে গেছে। এ বছর সবকিছুর দাম একটু বেশি।
চরফ্যাসন বাজারের মনপুরা সু-স্টোর স্টাফ হাসান বলেন, এ বছর দোকানে নতুন নতুন জুতার কালেকশন এসেছে। ছোট থেকে শুরু করে সকল বয়সীদের জুতো, সু, লোফার, হাই হিল, স্লিপারসহ নানা ধরনের জুতো। তবে আগের বছর দশম রোজা থেকে কেনাকাটা ছিল ভালো এ বছর জুতার কেনাকাটা তেমন ভালো হচ্ছে না।
চরফ্যাসন পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের ক্রেতা নুরে আলাম বলেন, বাচ্চাদের জন্য টুকটাক শপিং করতে এসেছি। মেয়ের জন্য জুতা কিনেছি আগের থেকে দাম বেশি।
চরফ্যাসন বটতলা তালুকদার প্লাজার রতন স্টোরের মালিক মো: রতন বলেন, কসমেটিক্স কেনাবেচা ভালো হচ্ছে এবং ক্রেতারাও নতুন নতুন জিনিস পেয়ে খুশি।
চরফ্যাসন জনতা রোড সংলগ্ন বৈশাখি কর্ণার স্টাফ ছোটন বলেন, ঈদ উপলক্ষে দেশ-বিদেশী কসমেটিক আনা হয়েছে। ভালো ভালো কাস্টমাররা দোকানে ক্রয় করতে আসে। ১৫ রোজা চলে এখন মোটামুটি কেনা বেচা হচ্ছে তবে সামনের দিকে আরো কেনা বেচা হবে বলে আশা করছেন।
Recent Comments