সুপারি গাছের শুকনো ঝড়ে যাওয়া পাতা গ্রামে সহজলভ্য ভাষা খোল হিসেবে পরিচিত। শুকনো এই খোল দিয়ে ব্যতিক্রমি উদ্যোগে তৈজসপত্র তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চরফ্যাসন উপজেলার মো: সোয়েব।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইউটিউবে ভিডিও দেখে জানতে পেরেছে সুপারি গাছের ঝরে পড়া শুকনো খোল দিয়েও তৈরী হয় নানা জিনিসপত্র। এরপর নিজেদের উৎসাহ থেকেই এই ব্যাতিক্রমী তৈজসপত্র তৈরী করে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, থালা, বাটি, নাস্তার ট্রে সহ ১৪ ধরনের তৈজসপত্র।
তৈজসপত্র তৈরির বিষয়ে সোয়েব বলেন, ঝরে পড়া সুপারি গাছের খোলে শতভাগ পরিবেশ বান্ধব পণ্য তৈরিতে শুধু আয়ের উৎসই হবে না পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহারের বিপরীতে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে মানুষ এই পণ্য ব্যাপক হারে ব্যবহার করবে এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই তিন উদ্যোক্তা।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, মানুষের মুখে শুনে সরজমিনে গিয়ে তৈজসপত্র তৈরির কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন। এ উপজেলায় ব্যাপক আকারে সুপারি উৎপাদিত হয়, সুপারির খোল দিয়ে পরিবেশ বান্ধব এসব তৈজসপত্র পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে আয়ের নতুন পথে হাটছেন উপজেলার তিন যুবক উদ্যোক্তা। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উৎপাদিত পণ্য পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সর্বসাধারণকে ব্যবহার করার আহ্বানও জানান।

সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।