মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে খিঁচুনি হয়, নবজাতক বা ছোট্ট শিশুদের নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে। তাই নিবিড়ভাবে লক্ষ না করলে শিশুদের খিঁচুনি অনেক সময় বোঝা যায় না। শিশু কোনো একদিকে স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকলে বা কোনো একটা হাত বা পা অবিরত নাড়তে থাকলে সেটাও খিঁচুনির লক্ষণ হতে পারে। চরফ্যাসন আমিনাবাদ এলাকার চার সন্তানের জননী বিউটি বেগম (২৬)। তার মেয়ে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। মেয়ে ১৬ বছর হলেও ঠিক মত কথা বলতে পারে না, হাটতে পারে না। গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, সতর্কতা অবলম্বন করা, এসব কিছু মানার পরেও তৃতীয় সন্তান প্রতিবন্ধী হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার মেয়ের পিছনে অনেক টাকা খরচ করেছি কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয়নী। আমার মেয়ে জন্মগ্রহন করার পড় সাত মাস পার হঠাৎ খিচুনি রোগ হয়েছে, এই বিষয় নিয়ে অনেক বার ডাক্তার দেখিয়েছি, তার পরেও আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি।
চরফ্যাশন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আবদুল হাই বলেন, একজন সন্তান জন্মগ্রহন করার পড় যদি দেখেন সন্তান কান্না করে না, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। গর্ভবতী মা অবশ্যই তার সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, এতে মা ও সন্তান সুস্থ থাকবে। জ্বর হলেও অনেক সময় শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। তবে জ্বরের কারণে শিশুর শরীরে কাঁপুনিও হতে পারে, আবার হঠাৎ কোনো কারণে ভয় পেলেও শিশুর শরীরে কাঁপুনি হতে পারে। শিশুদের প্রায়ই জ্বর হয়ে থাকে। শৈশবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যেকোনো রোগে শিশুরা সহজেই কাবু হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় শিশুর বেশি জ্বর হলে খিঁচুনি দেখা দেয়। সাধারণত ছয় মাস থেকে ছয় বছর বয়সের শিশুদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। খিঁচুনি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেক সময় তীব্র জ্বর থেকে খিঁচুনি হয়।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “ধীমান”। শুনুন প্রতি শুক্রবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে। শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ফাতেমা জাহান, সম্পাদনায় জেসমিন।