মা ইলিশ রক্ষায় ৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। তাই উপকূলীয় মৎস্যজীবীরা নৌকা সাজিয়ে গান বাজিয়ে নদী থেকে কূলে ফিরে এসেছেন। অনেকেই আবার নৌকা ট্রলার তীরে উঠিয়ে রাখেছেন।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, এই ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার থেকে তারা বিরত থাকবেন। কিন্তু বিকল্প কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হবে। এ ছাড়াও মহাজনের দেনায় দুচিন্তার শেষ নেই।
চরফ্যাসনের বিভিন্ন মাছ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, মৎস্যজীবিরা তাদের মাছ ধারার জাল ও ট্রলারের অন্যান্য সরঞ্জাম তীরে উঠিয়ে রেখে বাড়িতে আছেন। ট্রলারগুলোকে ধুয়ে ঘাটে তুলে রাখছেন সকল ঘাটের একই দৃশ্য।
মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে কয়েক দিন ধরেই ঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। মৎস্যজীবীদের নিয়ে করা হয়েছে সভা-সেমিনার।
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারিভাবে তাদের জন্য যে চাল বরাদ্দ হয় তা সঠিকভাবে তারা পান না। চাল না দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দিলে তারা সঠিকভাবে পেতেন।
চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, আগামী ২২ দিনের অভিযান সফল করার জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ অভিযান সফল হলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং তা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মৌসুমী মনীষা ও সুরভী
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।