চরফ্যাশনে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ। এই পদ্ধতিতে বারোমাস চাষাবাদ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এ চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ, চরমাদ্রাজ, আসলামপূর, জাহানপূর, আবদুল্লাহপূর, আবুবকরপূর এই ইউনিয়নগুলোর প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে ফসল চাষাবাদ হয়েছে।
হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় মাঠজুড়ে গড়ে ওঠেছে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ। কৃষকরা ব্যস্ত সবজি খামারের পরিচর্যার কাজে।
কৃষক মোহাম্মদ আব্বাস (২৭) বলেন, বাবা কৃষি কাজ করতেন। তবে তখন বছরে দুইবারই চাষাবাদের সুযোগ ছিলো। তাতেও গুনতে হতো লোকসান।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ আব্বাস ও আইয়ুব আলী দুই ভাই এ বছর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে ২৫০ শতাংশ জমিতে লাউ, করলা ও শসা চাষ করছেন। বাজার দর ভালো থাকলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করেন।
খামারে কাজ করা শ্রমিক মোহাম্মদ জাহিদ বলেন, সারাবছর তিনি ফসলের পরিচর্যা করেন। খামারের ফসলের কারণেই গড়ে ওঠেছে তার কর্মসংস্থান। এতে তার পরিবার খেয়ে-পড়ে মোটামুটি ভালো জীবন-যাপন করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব নাজমূল হুদা জানান, চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সাতটি ইউনিয়নে বিপুল পরিমানে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়। সর্জন পদ্ধতিতে সারা বছরে প্রায় পাঁচবার ফসল ফলানো যায় এবং বর্ষায় বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানও হয়।
Recent Comments