চরফ্যাসন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে এবার আলু চাষাবাদ হয়েছে। আগামী এক দেড় মাস পরেই নতুন আলু ঘরে তুলতে এখনো অনেক জায়গায় আলু চাষের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, আলু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক আলুর চাষ হয়েছে। এখানে বিশেষ করে বিএসডিসি, ডায়মন্ড ও হাইব্রিট এই তিন জাতের আলু চাষ হয়। গত বছর আলুর আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে কিন্তু এবার তা বেড়ে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ১নং ওয়ার্ডের মো: শুক্কর বর্দ্দার মিয়া জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়াতে অনেক কৃষকের রোপন করা আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যায় এবং জমিতে পানি জমায় দেরিতে হলেও ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় পুনুরায় জমি প্রস্তত করে আলু চাষ করেছেন। ২০ শতাংশ জমিতে তিনি ডায়মন্ড গোল আলু চাষ চাষে তার ২৫-২৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকে বৃষ্টি না হয় তাহলে ৭০-৮০ মন আলু পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন ১ মাস পরে আলু উঠানো যাবে। কিন্তু বাজার দরে আলুর দামও কম, মাত্র ১৫-২০ টাকা। আলুর দাম কম হলেও আলু চাষের খরচ উঠে আসবে বলে জানান।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ জানান, পুরো উপজেলা জুড়ে এবার আলুর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বৃষ্টি না হলে আশা করা যাচ্ছে ভালো ফলন হবে।

অধরা ইসলাম ও মৌসুমী মনিষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।