কঠোর নজরদারিতেও নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই চরফ্যাসন তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে ২০ জন মৎস্যজীবী আটক

ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গতকাল (রবিবার) ০৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড নদী অঞ্চলে কঠোর নজরদারি করছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই আইন অমান্য করে চরফ্যাসন তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন ঘাটে জাল ফেলেন জেলেরা। পরে মোবাইল কোড ও ভ্রাম্যমান আদালতের যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২০ জন মৎস্যজীবীকে আটক কোস্টগার্ড ও পুলিশ। আটককৃত মাছ গুলো অসহায় ও মাদ্রাসায় বিতরন করা হয়।
এদিকে মেঘনার সামরাজ ঘাটের জেলে মোঃ তাজুদ বলেন, সামরাজ ঘাটের সব জেলেরাই সরকারের আইন মান্য করে নদীতে মাছ শিকারে মেঘনায় নামবে না। তবে অবরোধ শেষে পূণরায় আবার নদীতে ফিরবেন বলে জানান।
চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন মিনার জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছর সরকার ইলিশ মাছের প্রজনন নির্বিঘ্নে করার জন্য ২২ দিন মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এবছরই সর্ব প্রথম সরকার বাংলাদেশকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। তার মধ্যে ২০টি জেলাতে সমস্ত নদ-নদীতে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আর ১৮ টি জেলায় মাছ ধরা যাবে কিন্তু ইলিম মাছ আহরন করা যাবে না। ভোলা জেলাটিও উপরোক্ত ২০ টি জেলার মধ্যে পড়েছে।
এছাড়া ও তিনি বলেন, প্রতিদিন মেঘনা ও তেতুঁলিয়ায় একটি টহল টিম কাজ করছে, যাতে জেলেরা আইন অমান্য করে মাছ শিকার করতে না পারে। কিন্তু আজ প্রথমদিন ২০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে তাদের এখনো কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে জানান।
সুরভী ও মৌসুমী
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।