গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বেশ প্রচলিত ছিলো হাতের তৈরী নকশি কাঁথার। কালের বিবর্তনে এই কাজ বিলুপ্তের পথে গেলেও অবসর সময়ে বাহারি নকশি কাঁথা সেলাই করে সফল হয়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী আমিনাবাদ এলাকার কিশোরী খাদিজা আক্তার।
মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার। সংগ্রামী সফল নারীদের গল্প নিয়ে রেডিও মেঘনার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘সফল নারী’ শুনে নিজেও সফল হয়েছেন। খাদিজা বলেন, এই অনুষ্ঠান শুনে সপ্তম শ্রেণি পড়া অবস্থায় তার পছন্দের কাজ নকশি কাঁথা সেলাই শুরু করেন। তবে করোনায় দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেই ইচ্ছেকে আরো প্রবল করে তোলে। এসময় পড়ালেখার পাশাপাশি দশটি নকশি কাঁথা সেলাই করেন খাদিজা। বড় কাঁথা ৪-৫ হাজার এবং ছোটগুলো ২-৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার নকশি কাঁথা বিক্রি করেছেন তিনি।
তাঁর মায়ের সাথে কথা হলে বলেন, করোনার সময় খাদিজার বাবার আয়-রোজগার কমে গেলে খাদিজার কাঁথা বিক্রি করা টাকা দিয়ে সংসারের হাল ধরেছে। তাই নিজের মেয়েকে সেলাই কাজ শেখান। তার স্বপ্ন খদিজাও একদিন নকশি কাঁথা সেলাই করে স্বাবলম্বী হয়ে মানুষের চোখে সুনাম অর্জন করবে। এদিকে খাদিজার স্বপ্ন পড়ালেখার পাশপাশি তিনি এই নকশি কাঁথার ব্যবসা শুরু করবেন।

এমনি করে এগিয়ে যাক খাদিজার মত সকল সংগ্রামী নারী ও কিশোরীরা এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।

প্রতিবেদনে,
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা।
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।