দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু করেছে মৎস্যজীবিরা। জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পরায় খুশি তারা। তবে সামনের দিন গুলোতে মাছ আরো বেশি ধরা পরার আশা করছে মৎস্য বিভাগ।
নদী সাগরে ইলিশ ধরা,মজুদ এবং বিপণনে গত ১লা মার্চ শুরু হয় সকল প্রকার মাছ শিকারে দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা । দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার শেষে শনিবার (৩০ এপিল) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। এতদিন যেসব আড়তে ছিল নিরবতা সেইসব আড়দে মৎস্যজীবী,ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসনের বেতুয়া, সামরাজ, নতুন সুলিজ, ভেরিভাঙ্গা, কচ্ছপিয়া মাছ ঘাট, ঘোষেরহাট, চেয়ারম্যানের খাল মাছ ঘাটসহ ২৪৬টি মৎস্য ঘাট রয়েছে। এই সব এলাকায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছে মোট ৪৪ হাজার ৩শত ১১ জন।
নিষেধাজ্ঞা সময়ে কর্মহীন হয়ে এই দুই মাস জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ করে সময় কাটিয়েছে মৎসজীবিরা। এখন মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এবং নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।
চরফ্যাসনের বেশির ভাগ এলাকাতেই নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ না ধরায় নদীতে ইলিশের পরিমান বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। তিনি বলেন, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ আহরন, পরিবহণ, ক্রয় বিক্রয় বন্ধ ছিলো এখন আর নিষেধাজ্ঞা নেই আশা করছে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ, ধরা পরছে রুপালি ইলিশ। খুশি মৎস্যজীবি ও ব্যবসায়ীরা।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।