চর ফকিরা, চর কুকরি মুকরি, চর পাতিলাসহ ছোট-বড় প্রায় ১১টি চর মূল ভূ-খন্ড থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এখানকার উপকূলীয় চর সমূহের বেড়িবাদ সংলঘ্ন এলাকায় বসবাস করছে অসংখ্য শিশুসহ নারী-পুরুষরা। এই সব চরাঞ্চলে অধিকাংশই শারীরিক পরিচর্যায় রয়েছে অসচেতন, এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে নারী ও কিশোরীরা। সরজমিনে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে এমনটা জানা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সন্ধীকালীন ও শারীরিক পরিচর্যার ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্পের নেই।
চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ের দক্ষিনের চর ফরিকার বেড়িবাদ সংলঘ্ন ছোট একটি দূর্গম চর খেজুর গাছিয়া। বেড়িবাদের আশপাশে বসবাস করা নারগিস, আকলিমা, মুক্তাসহ আরো অনেক বলেন, বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে শারীরিক পরিচর্যা সর্ম্পকে তারা জানেনা। স্যানেটারি নেপকিন ব্যবহারের সুফল সর্ম্পকে না জানায় পুরাতন কাপড় নদীর বা পুকুরের পানিতে পরিস্কার করে বারবার ব্যবহার করেন, এতে দেখা দেয় নানান রোগ।
এছাড়াও চরাঞ্চলের মেয়েদের প্রচলিত ধারণা বয়সন্ধীকালীন সময়ে ব্যবহৃত কাপড় বাসাতের সংস্পর্শে আসলে পেট ব্যাথাসহ বিভিন্ন সমস্যা হয় এছাড়াও এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ব্যপারেও তারা অসচেতন।
চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভন কুমার বসাক জানান, চরের মানুষ অনেক বিষয়ে অসচেতন বিশেষ করে শারীরিক পরিচর্যার ব্যাপারে। চরের গ্রাম জোয়ার, বৃষ্টি বর্ষা প্লাবিত হয়ে থাকে সেই অপিরস্কার পানি ব্যবহার করে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয় খুবই কম মেনে চলে বলেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাও বেশি। নিরাপদ পানি পান, পেড ব্যবহার, অপরিস্কার পনি ব্যবহার, খালি পায়ে হাটাসহ স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।