মাঘের শুরু থেকেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ঘর থেকে বের হলেই কনকনে বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ফলে বাড়ছে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা রোগ। সারাদেশের ন্যায় চরফ্যাসন হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।
চরফ্যাসন হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। ডাক্তার দেখাতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিনিয়ত লাইন ধরে ভিড় করছে শিশু বিশেষজ্ঞের কক্ষের সামনে।
প্রতি বছর শীতেই ঠান্ডার সমস্যা হয় শিশুসহ পরিবারের কোনো না কোন সদস্যের কয়েকদিন পর পরেই সর্দি, জ¦র, কাশি ডায়েরিয়া দেখা দেয় বলে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন বলে জানান অভিভাবকরা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোঃ মাহাবুব কবির বলছেন, শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। এ কারণে ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠান্ডাজনিত সমস্যাও বেশি হয়। করোনার এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা ইসলাম।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।