বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৮৪ দিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকতে হয় মৎস্যজীবিদের। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরা, ক্রয় বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। আর মৎস্যজীবিরা যাতে এই সময়ে বাড়িতে থেকে পরিবার নিয়ে থাকতে পারে সে লক্ষ সরকার মৎস্যজীবিদের কার্ডের মাধ্যমে ভিজিএফের চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরতে যায় অনেকে। আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় জেল জড়িমানার আওতায় আনছে প্রশাসন।
গত বছর উপজেলর ৪ হাজার ১শত ৫৬.৭২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল দেওয়ায় হয়েছে মৎস্যজীবিদের। তবে মৎস্যজীবিদের দাবি যে পরিমানে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা খুবই সামান্য মাত্র। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৮৪ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া হাজার হাজার মৎস্যজীবি ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটে পরে। আবার অনেকেই সরকারি বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই পেটের দায়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাদ্য হয়ে মাছ ধরছেন।
শুধু চাল খেয়েই পরিবার বাঁচেনা জানিয়ে তারা বলেন, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, অসুখ-বিশুখে ডাক্তার দেখানোসহ একটি সংসারে অনেক খরচ থাকে সেই খরচ যোগাবো কিভাবে? জানা যায়, দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে সুযোগ দিতে সাগরে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাঙ্গা দেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই আবারো শুরু হয় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরেই আবারো শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা। এভাবেই নিষেধাজ্ঞা পর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুঃশ্চিতায় থাকতে হয় মৎস্যজীবিদের।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এমন উদ্বেগ কেবল মৎস্যজীবিদের নয়, সমুদ্রগামী ট্রলার মালিক, সামুদ্রিক মৎস্যকেন্দ্রীক ব্যবস্য়ীদেরও মধ্যেও এমন উদ্বেগ আছে।
চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা সময় খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে বকনা বাছুর, হাঁস-মুরগী, ভেড়া ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর ২০২১ সালে ৪ হাজার ১শত ৫৬.৭২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর আওতায় ২০২২ সালে এপর্যন্ত উপজেলায় ২৬শত ৮৪ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।
মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।