চরফ্যাসন উপজেলার খেঁজুর গাছিয়া এলাকা ঘুরলে চোখে পড়ে, উপকূলের সমুদ্রপাড়ে মৎস্যপল্লীর মৎস্যজীবীরা এই অবরোধে জাল মেরামতের কাজে করছেন। মৎস্যজীবী মোঃ জাকির হোসেন (৪০) জানান, ছোট বেলা থেকেই মৎস্য পেশার সাথে জড়িত আছি। বর্তমানে নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন আমরা বাড়িতে বসে জাল মেরামতের কাজ করছি। জাকির হোসেন বলেন, আমার ১৮ বছর বয়সি ছেলে মোঃ আরিফকে নিয়ে অবরোধের এই সময়ে জাল মেরামতের কাজ করছি। বাপ ছেলে মিলে একটি নতুন জাল মেরামত করতে প্রায় দুই দিন লেগে যায়। একটি নতুন জাল মেরামত করতে পারলে ২ হাজার টাকা পাই। এতেই এই অবরোধে চলে আমাদের সংসার।
তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ মৎস্যজীবীরা তাদের নিজেদের জাল নিজেরাই মেরামত করেন। তাই এখন কাজের অর্ডার খুব কমই আসে। এজন্য কখনো কখনো বেকার সময় পার করতে হয় আমাদের।
শুধু জাকির হোসেন কিংবা আরিফ নয়। এভাবেই চলছে চরফ্যাসনের অনেক মৎস্যজীবীদের জীবন।
মৎস্য অভয়াশ্রম এর আওতায় মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুই মাসের জন্য মেঘনা ও তেুঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশসহ যেকোনো মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানান মৎস্য বিভাগ।
মৎস্যজীবীদের নিয়ে রেডিও মেঘনার পাক্ষিক অনুষ্ঠান ‘জেলেজীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ’।
অনুষ্ঠানটির সাক্ষাৎকার ও উপস্থাপনায়: ফাতেমা জাহান। প্রযোজনায়: মৌসুমী মনীষা।