একজন শিশুর বেড়ে ওঠার সময় তার উচ্চতা ঠিক আছে কি না, তা বোঝা অনেক বাবা মায়ের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ একজন মানুষ কতটুকু লম্বা হবে তা নির্ধারণ করে  শরীরে থাকা জিন থেকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সের পর লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

কিশোর বা কিশোরীর ক্ষেত্রে সবার দৈহিক বৃদ্ধির হার এক রকম নয়। জাতিগত বৈশিষ্ট্য, মা– বাবার উচ্চতা, পুষ্টিজনিত সমস্যা, বংশগত রোগ ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন হরমোনজনিত রোগে কারও কারও দৈহিক উচ্চতা কম বা বেশি হতে পারে।

কিশোর বা কিশোরীদের দৈহিক বৃদ্ধি বা উচ্চতা কম হওয়ার কারণ ও করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহাবুব কবির। তিনি বলেন, উচ্চতায় কম বেশি হওয়া নির্ধারণ করে মূলত জিনগত কারণে । বিশেষ করে বাবা মায়ের উচ্চতার সাথে সন্তানের মিল থাকা স্বাভাবিক। তবে যথাসময়ে যদি শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো না হয় তাহলে উচ্চতায় কম হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

তিনি আরো বলেন, একজন শিশুর শুধুমাত্র বংশগত কারণেই যে উচ্চতা কম হয় তা নয়। বয়সের সাথে মিল রেখে একজন ছেলে বা মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার, ঘুম, সঠিক শারিরীক পরিচর্যার উপরেই কিশোর কিশোরীর দৈহিক বৃদ্ধি ও মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে। তাই উচ্চতার সঠিক বৃদ্ধি পেতে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করতে হবে।

বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক যত্ন ও পরির্বতন নিয়ে রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এর সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “আমরা কিশোর কিশোরী” শুনুন প্রতি সোমবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে।

উপস্থাপনা ও সম্পাদনায় সুরভী এবং প্রযোজনায় উম্মে নিশি।