বর্ষার এসময় সাপের কামড়ের ঘটনা সাধারনত বেশি ঘটে থাকে। কারন এই সময় বৃষ্টির কারনে চারিদিকে পানি থাকে। বিষধর সাপের কামড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর ম‚ল কারণ সচেতনতার অভাব।
বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বেশি হওয়ায়, দংশনের ঘটনাও বেশি ঘটে। সাপে দংশন করলে প্রথমেই ওঝার কাছে যান। তাতেও যদি রোগী সুস্থ্য না হন তাহলে ডাক্তারের সরনাপন্ন হয়। অবার কেউ জানান, আগে সাপে কামড়ালে ওঝার কাছেই যেতেন। এখন সময় বদলেছে, সব উন্নত হয়েছে। তাই এখন সাপে দংশন করলে প্রথমেই ডাক্তারের কাছে যাবেন। এমনটাই জানান, দক্ষিন নাজিমদ্দিন এলাকার মাকসুদা (৫২) এবং আছমা (৩৫)
এ বিষয় মেডিক্যাল অফিসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন এমবিএস, বিসিএস স্বাস্থ্য ডাক্তার রেজওয়ানা হক বলেন, অল্প সংখ্যক মানুষ সর্তক হলেও বেশির লোকই সর্প দংশনে ওঝার পিছনেই ছোটেন। সাপের কামড়ে ওঝার পিছনে ছোটা ববা আতঙ্কিত হওয়অ যাবেনা।
আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াচাড়া না করে করা বেঁধে ফেলতে হবে। তবে খুব বেশি শক্ত করে বাঁধা যাবে না, এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন আক্রান্ত অঙ্গ ও কাপড়ের মাঝে একটু কষ্ট করে একটি আঙুল ঢোকানো যায়। তবে দেশের ৮০ ভাগ সাপই বিষাক্ত নয়। বাকি ২০ ভাগ সাপ বিষাক্ত হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্ত স্থানে প্রচÐ ব্যথা অনুভব করলে, রক্তক্ষরণ হলে, চোখের পাতা পড়ে গেলে, ঘাড় শক্ত রাখতে না পারলে, হাত-পা অবশ হয়ে এলে ও শ্বাসকষ্ট হলে একটুও দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত নির্বিষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত স্থানে সামান্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা অল্প ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এসব লক্ষণ থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, যেকোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত বলে জানান তিনি।