সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, একটু স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করলেও বৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় পুরো চরফ্যাসনের এলাকা জুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে। আগে থেকে আধাপাকা ধান, রবিশস্য ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা। আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে তথ্যমতে, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে সতর্কতাসহ পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসনে চলতি মৌসুমে ৩২ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ফসলের মাঠে সোনালী ধান যদি এখনি বৃষ্টি হয়ে যায় তবে এই জমির ধান বৃষ্টিতে তলিয়ে যাবে। তাই কৃষকরা ইতোমধ্যে মাঠের অধিকাংশ রবিশস্য এবং প্রায় ৫০ শতাংশ জমির আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত।

চর আফজাল এলাকার কৃষকরা বলছেন, এবছর তীব্রতাপদাহের ফলে রবি মৌসুমে বেশির ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বিশেষ করে বাদাম, মরিচ, ডাল জাতীয় ফসল। এতে চরম লোকাসানের মধ্যে রয়েছে। তবে এবার বরো আমন মৌসুমে ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি আসার সম্ভাবনায় আগেই আধাপাকা ধান কেটে  ঘরে তুলছেন বলে জানান তারা।

কালবৈশাখীর আশঙ্কায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব, রোকনুজ্জামান বলেন, চরফ্যাসনে এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে বেশিভাগ ধান পেকে গেছে এবং রবিশস্যও ইতিমধ্যে তুলতে শুরু করেছে। তবে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় থাকায়  যে সকল কৃষকদের ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে তাদের ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

সুরভী ও অধরা ইসলাম

রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।