রাজপথের অবরোধ জেলেদের প্রভাবিত না করলেও সমুদ্র বা নদীর অবরোধ তাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। মাছধরা নিষেধাজ্ঞার সময়টাকে জেলেরা বলে অবরোধ। আর এই অবরোধের সময় জেলে জীবনে নেমে আসে অর্থকষ্ট, ধার করাসহ আগাম দাদন নিয়ে বেঁচে থাকার চিন্তা। এই দুর্বিষহ জীবন থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত সুলভভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রান্তিক জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই কার্যক্রম থেকে প্রায় দুই বছর আগে একটি বকনা বাছুর পেয়েছিলেন রসুলপুর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলে মো: সোলাইমান (৫০)। সেই বাছুরটি থেকে এখন প্রায় তিন লাখ টাকা সম্পদ হয়েছে তার। তিনি চান যতদনি বেঁচে আছেন এই গাভি বিক্রয় না করে লালন-পালন করে আরো বেশি টাকা আয় করে জমি কিনবেন। প্রায় একই ধরণের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন জিন্নাগর ৬ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত সুভাষ দেবনাথ।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মারুফ হোসেন মিনার বলেন, মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। এই প্রকল্প গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর প্রকল্পিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুসারে এই প্রকল্পের কার্যকর হচ্ছে মূলত ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় যে সকল জেলেরা আছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করা তারা যেন অবরোধের সময় মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকে এর পাশাপাশি বিকল্প কাজের মাধ্যমে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখে অথবা নিজেদের আয়ের চাকা সচল থাকে।