মোবাইল ফোনে অনলাইনে ফ্রি ফায়ার পাজবিসহ বিভিন্ন ধরনের গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে ভোলার চরফ্যাসনের কিশোরা। এখন আর বিকাল বেলা শিশু-কিশোরদের মাঠে খেলতে দেখা যায় না। দেখা মিলে তাদের বাড়ির কোনোয় বা রাস্তাঘাটের এক স্থানে বসে মগ্ন থাকে ভিডিও গেমস খেলায়। এতে নষ্ট হচ্ছে মেধাশক্তি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আগে মাঠে খেলাধুলা করা হতো এখন বন্ধুেদর সাথে ফ্রি ফায়ার গেইম খেলতে ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে খেলার জন্য টাকা জোগার করতে বন্ধু বান্ধবের সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকে। আবার কেউ কেউ বলছে, গেইম না খেললে ভালো লাগেনা সময় কাটাতে গেইমকে বেছে নিয়েছে। তাছাড়া সবার হাতে এখন স্মার্টফোন।
অভিবাকরা জানান, আদরের সন্তানদের আবদার মেটাতে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছে তারা। কিন্তু স্কুল কলেজ ছুটি শেষে সময় পেলেই মোবাইল নিয়ে গেইম খেলে। আর সময় মতো চাহিদা ইন্টারনেট চাহিদা মেটাতে না পারলে পরিবারে বিভিন্ন ধরনের অশান্তি তৈরী করছে তারা, কোনো ভাবেই থামাতে পারছেনা সন্তানদের
স্থানায়ী সচেতন মহল বলছেন, বর্তমানে দিনের বেশির ভাগ সময় ছোট বড় ছেলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনা বা রাস্তার পাশে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিফায়ার গেইম খেলতে দেখা যায় । এক প্রকার নেশার থেকে ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে এই ফ্রি ফায়ার গেইমটা।

চরফ্যাসন থানা ওসি মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, অনলাইন গেইম বা ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল, স্মার্ট ফোন ব্যবহারে নজরদারি করা নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এই ইন্টারনেট ব্যবহারে যত্নশীল যদি না হয়, গেইম টা বন্ধ না করে তাহলে এখনকার ছেলেরা বিপদগামী হবে পড়াশোনায় মনযোগ হারিয়ে ফেলবে তাই ক্ষতিকর গেইম খেলার বিষয়ে কাজ করছেন। গেইম খেলার সময় কাউকে পেলে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং প্রাথমিক পর্যায় সর্তক করে মুসলেখা নেওয়া হয়।এই ধরনের অপরাধে যুক্ত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন বদল হলেও প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ফোন ব্যবহার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মরণ বেধিঁ ভিডিও গেইম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে চরফ্যাসন বাসী।

সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।