প্রতিটি শিশুই ছোট্ট চারাগাছের মতো। তার মধ্যে রয়েছে বিশাল বৃক্ষ হয়ে বিকশিত হওয়ার যোগ্যতা। ছোট থেকে সঠিক পুষ্টি ও যত্ন পেলে শিশুরা ভবিষ্যতে দেশের সম্পদে রূপান্তরিত হবে।
শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়। ৬ মাসে পা দেওয়ার সঙ্গে তার খাবারের তালিকা ঠিক করতে হবে। এ সময় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশের জন্য পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায় যা শুধুমাত্র বুকের দুধ দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়। বাড়তি খাবার বলতে প্রথমেই খিুচুড়িরর কথা মনে পরে। যা শিশুদের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরন করার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি সরবরাহ করে। এছাড়াও চাল ও ডালকে একত্রিত করার ফলে এদের সম্পূরক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমিষের গুনগত মান বেড়ে যায়। খিচুড়ির সাথে বিভিন্ন সবজি, মাছ, কলিজা, ডিম খাওয়াতে পারেন।
এসময় খাদ্য তালিকায় আরও যোগ করতে পারেন নরম ভাত, আলু সেদ্ধ, হজমে সমস্যা না হলে ধীরে ধীরে ফল সেদ্ধ। যেমন: আপেল, গাজর, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সেদ্ধ মিষ্টি কুমড়া, ইত্যাদি। শিশুদের জন্য ফল অনেক বেশি উপকারী। সাধারণত পাকা কলা, পাকা আম, আপেলের পিউরি, নাশপাতির পিউরি, কমলার রস ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। তবে শিশুকে একসঙ্গে সব ধরনের ফল বা খাবার না দিয়ে রুটিন করে নিন। যে কোন নতুন খাবার অল্প অল্প করে শুরু করবেন এবং শিশুর কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন।
শিশুদের পুষ্টিকর খাবার নিয়ে রেডিও মেঘনার তথ্য ভিত্তিক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “আজকের শিশু”। প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম-এ সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বিকেল ০৫:৪০ টায়।

উপস্থাপনায়: ফারিহা ইসলাম
প্রযোজনায়: উম্মে নিশি।