দেশে আগের তুলনায় মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ক্রমেই কমছে। মাত্র কয়েকবছর আগেও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যত সংখ্যক মহিলার মৃত্যু হতো তাদের মধ্যে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে মৃত্যুহার ছিল সর্বাধিক। বর্তমানে মহিলাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে জরায়ুর মুখের ক্যান্সার প্রথম থেকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে।
এক মিনিটের পরীক্ষায় মহিলাদের জরায়ুর মুখের ক্যান্সার সনাক্ত হচ্ছে। চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভায়া পদ্ধতিতে জরায়ুতে ক্যান্সারের জীবাণু রয়েছে কিনা তা সহজেই নির্ণয় করা হচ্ছে।
চরফ্যাসন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ভায়া ও সিবিবির স্ক্যানিং ইনচার্জ গীতা রানী রায় জানান, চরফ্যাসন হাসপাতালে মাত্র এক মিনিটের ভায়া পদ্ধতির পরীক্ষার মাধ্যমে কোন মহিলার জরায়ুতে ক্যান্সারের জীবাণু রয়েছে কিনা তা জানা যায়। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ‘কলপসকপি’ নামে অন্য একটি পরীক্ষা করতে হয়। জরায়ু মুখের ক্যানসার পরীক্ষার জন্য কোন ডাক্তারের পরামর্শ লাগবে না শুধু মাত্র ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসলে পরীক্ষা করতে পারবে । সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা করা যাবে।
এই বিষয়ে চরফ্যাসন হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভন বসাক বলেন, জরায়ু মুখের ক্যানসার প্রথম থেকে শনাক্ত করতে পারলে ক্যানসারের ভয়াবহতা দূর করা যাবে। জরায়ু ক্যানসারে সব থেকে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে ৩০ থেকে ৬০ বছরের নারীরা । তাই প্রতি ৫ বছর পর পর এই ক্যানসার পরীক্ষা করা প্রয়োজন।