দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সঙ্গে যোগ হয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এমত অবস্থায় সংক্রমন ঠেকাতে আবারো বন্ধ ঘোষনা করা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে বিরুপ প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও চলবে অনলাইনে ক্লাস।
করোনা মহামারীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলেও আবারো কোভিড-১৯ সংক্রমন বাড়ায় সারাদেশে একযোগে ২১ জানুয়ারি থেকে ০৬ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত দুই সপ্তাহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠন বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার।
তবে পূনরায় আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনায় চরফ্যাসনের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পড়ছে এমনটাই জানান শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় লেখাপড়া অনেক পিছিয়ে পড়ে ছেলে মেয়েরা। তবে বিদ্যালয় খোলার পর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলেও আবারো স্কুল বন্ধে দুশ্চিতায় অভিভাবকরা।
শশীভূষণ হামেদিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এবং অভিভাবকদের সাথে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
চরফ্যাসন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিক্ষর্থীদের পড়াশুনায় ক্ষতিপূরণের জন্য গুগল মিটের মাধ্যমে ‘অললাইন ও অপলাইনের’ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছেন। শিক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেন, এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় কোনো সমস্যা হবে না।
মৌসুমী মনীষা ও লাবনী হোসেন
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।