দ্বীপ জেলা ভোলার দক্ষিনে চরফ্যাসন উপকূল ঘেঁষে মেঘনার নদীর বিশাল জলরাশির বুক চিরে জেগে উঠছে নতুন ভূমি। এর পরের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে জেগে উঠছে বিশাল চর। জোয়ারের সময় দেখা না গেলেও ভাটায় স্পষ্টভাবে এর অস্থীর প্রমাণ মিলছে। যা দীর্ঘ সময় ধরে ভাঙন কবলিত দ্বীপের মানুষের মাঝে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।

প্রবল স্রোতে ভাঙ্গের ফলে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ফসলি জমি আর বসত ভিটা। শতবছর পরে এখন আবার মেঘনার কোল ঘেঁষে এরই মধ্যে জেগে উঠেছে, বেতুয়ার মাঝের চর, জাহানপুর সংলগ্ন ভাসেরধন, ভাসানচর, ঢাল চর, পূর্বেরচর, বয়ার চর,কলাগাচিয়া চর ও শিবচর সহ বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন নতুন চর। চরফ্যাসনের মূল ভুখন্ডে গড়ে ওঠা চরে চরফ্যাসন বন বিভাগের আওতায় শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী।

চরফ্যাসনের বন বিভাগ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা চন্দ্রশেখর বলেন, চরফ্যাশনের দক্ষিণে জেগে ওঠা এসব চরগুলোকে বসবাসের উপযোগী করতে চরফ্যাসন বন বিভাগের আওতায় কেফরা,কেওরা, বাইনসহ নানান রকমের বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচী মধ্য দিয়ে সাড়ে তিনশত হেক্টর বনায়ন হচ্ছে। অন্যদিকে দুইশত টি বসত বাড়িতে ২০ টি করে বিনামূল্যে চারা রোপনসহ মডেল উপজেলা ২৫ হাজার চারা রোপন করা হবে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, চরফ্যাশনের ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে বনায়ন করা হবে। উপকুলীয় এই চরাঞ্চলে সবুজে বেষ্টনীর পাশপাশি চরফ্যাসনকে দ্বিতীয় সুন্দর বন হিসেবে গড়ে তোলার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বনবিভাগ।জলবাযু পরিবর্তনের ফলে নানা দূর্যোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনায় এখন থেকেই জেগে ওঠা নতুন গুলোতে বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সুরভী ও জেসমিন।
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।