দেশে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। ইউনিসেফের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৭ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আর এর বেশির ভাগই ঘটে গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে ঈদের ছুটি ও বর্ষাকালে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু কমাতে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
৪ বছরের সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় চরফ্যাসন জিন্নাগড় ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার রেসমা বেগম। নয়ন ও রেসমার সংসারের দুটি সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান ঝুমুরকে হারিয়ে কষ্টের যেন শেষ নেই। মা দুপুরে রান্না ও পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ঝুমুর চোখের আড়াল হয়ে কখন পুকুরে পরেছে জানা নেই। মাত্র চার বছরেই হারিয়ে ফেলেছে আদরের কন্যা সন্তানকে।
নিহত শিশু ঝুমুরের দাদি বলেন, শিশুটির মা মেয়েকে সাথে নিয়ে পুকুরে মাছ ধুতে যায়। এ পর্যায়ে মেয়েকে পুকুর ঘাটে রেখেই ঘরে চলে আসে। এর কিছুক্ষন পরেই মেয়ের দাদি ঝুমুরের খোজঁ করে তখন শিশুটির মা পুকুর পাড়ে যায় গিয়ে দেখে তার আদর সন্তান পুকুরের পানিতে ভেসে উঠলে তাকে নিজ হাতেই উদ্ধার করেন। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
স্থানীয় বলছেন, পরিবারের অসচেতনতার জন্যই ঝুমুরের মতো আরো অনেক শিশুরা অকালে প্রাণ হারিয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এভাবেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে ঘটছে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা। এজন্য সবাইকে সচেনতা থাকা উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোবন কুমার বসাক জানান, পুকুর ও জলাশয়ের আশেপাশে বেড়া দেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। অভিভাবকদের অনেক বেশি সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।
Recent Comments