কৃষি কাজ করে পূর্বের চেয়ে লোকশানে আছেন চরফ্যাসনের অনেক কৃষকরা। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ঘন-ঘন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, লবণাক্ততা, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অসময়ে বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন কৃষকরা। ৭ বছর যাবৎ কৃষি কাজের সাথে জড়িত রোকেয়া বেগম। তিন সন্তানকে নিয়ে সামরাজ মহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস তার। নিজের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করতো ধান কিন্তু প্রায় ২ বছর ধরে ভালো ফলন না হওয়ায় কৃষি কাজের প্রতি অনিহা প্রকাশ করছেন রোকেয়া বেগম। আগের তুলনায় এখন অনেক কৃষকরাই লোকশানে গুনতে হয়। আবার সংসারে চাহিদা না মেটাতে পেরে কৃষি কাজ ছেড়ে শহরে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিচ্ছেন অনেক কৃষক।
উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সানাউল্লআহ আজম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষকের যে ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে আনার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন কার্যক্রমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু প্রাকৃতিক দূর্যোগ এড়ানোর কোন উপায় নেই, তাই সেগুলো লক্ষ্য করেই কৃষকদের চাষাবাদ করতে হবে। আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠক, কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি যে, তারা জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল কিভাবে উৎপাদন করবে।
কৃষি ভিত্তিক রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান কৃষি ও কৃষক প্রচারিত হয় প্রতি বুধবার বিকেল ৫:৪০, অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় জেসমিন।