শীতের মৌসুমে কদর বাড়ে খেজুরের রস ও গুড়ের।এই খেজুরের রস ও গুড়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করে নিজেদেরও বাড়তি আয়ের পথ বেছে নেন গাছিরা।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কমবেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করতে দেখা যায় গাছিদের। এমনই এক গাছি মোঃ হান্নান মাঝি। শীতের মৌসুম এলে তিন মাস ধরে খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি। হান্নান মাঝি উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

গাছি হান্নান জানান, “প্রায় ৪ বছর ধরে শীতের মৌসুমে খেজুরের গাছ কেটে রস ও গুড় সংগ্রহ করছি। বছরের প্রতি শীতের মৌসুমে তিন মাস পর্যন্ত এসব রস ও গুড় সংগ্রহ করি। রস এবং গুড় আলাদা আলাদা বিক্রি করি। এর মধ্যে প্রতি হাড়ি রস দেড় থেকে দুইশত টাকায় বিক্রি করতে পারি। আর প্রতি কেজি গুড় তিনশত থেকে চরশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি। লোকজন বাড়ি থেকে এসেই এসব রস ও গুড় কিনে নেন।”

তিনি বলেন, “আগের তুলনায় খেজুর গাছ এখন অনেক কমে গেছে। যার জন্য তেমন গাছ নেই। এ বছর বিভিন্ন এলকা ঘুরে ৬০ টি গাছ কেটেছি। যেখান থেকে প্রতিদিন ৪-৫ কলসের মতো রস হয়। এসব রস থেকে ৩ থেকে ৪ কেজি গুড় সংগ্রহ করা যায়। মানুষের কাছে রস এবং গুড়ের ব্যাপক চাহিদা। দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকায় আয় হয়।”

তিন মাস খেজুর গাছ কেটে রস ও গুড় সংগ্রহ করে বাড়তি টাকা উপার্জন করে বেশ লাভবান তিনি। যা শীতের মৌসুমে সম্পূর্ণ বাড়তি আয়। এই খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহের পাশাপাশি চাষাবাদ করেন তিনি। শীতের মৌসুমের খেজুর রস ও গুড়ের এই আয় ও চাষাবাদের আয় থেকে ভালোভাবেই সংসার চলছে গাছি হান্নানের।

সুরভী ও লাবনী
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাশন।