ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ভোলা সদর উপজেলায় ঘরচাপা পড়ে এক বৃদ্ধ ও মধ্যরাতে লালমোহন উপজেলায় এক গৃহবধূ পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার পর ভোলায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম (৭০) ও লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৫)।
লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফাতেমাবাদ গ্রামে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে। এ সময় ওই গ্রামের বাড়িগুলোতে পানি উঠতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। গভীর রাতে অন্ধকারের মধ্যে দৌড়াতে গিয়ে ফাতেমা বেগম বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ডুবে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ভোররাতের দিকে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছেন।
এর আগে গতকাল রাত নয়টার দিকে ঘরচাপা পড়ে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় মফিজুলের পরিবারের একজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গতকাল রাতে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। গতকাল রাত নয়টার দিকে দৌলতখান পৌরসভা এলাকায় গাছচাপায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম বিবি খাদিজা (৬৮)। এ ছাড়া জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকায় সড়ক দিয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী যাওয়ার সময় গাছ পড়ে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান অপরজনকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসব তথ্য প্রথম আলোকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম