চরফ্যাশন উপজেলার মিয়াজান পুরের ৯ নং ওয়ার্ডে শসার বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষক মোঃ ওমর ফারুখের মুখে।
চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন দপ্তরের তথ্য মতে, গ্রীষ্মকালীন সবজি হিসেবে এবছর চরফ্যাশন উপজেলায় শসা চাষে ৩,৫০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। তবে আব্দুল্লাহপুর, আসলামপুর, হাজারিগঞ্জ, চরমাদ্রাজ, জাহানপুরসহ নানা স্থানের কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১,৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে শসার আবাদ হয়। এ বছর মোট ৪,৮০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
মিয়াজান পুরের কৃষক ওমর ফারুখ বলেন, প্রায় ১৩ বছর ধরে চাষাবাদের কাজে যুক্ত রয়েছেন। এ বছর ১একর ৬০ শতাংশ জমিতে ৬০,০০০ হাজার টাকা খরচ করে শসা চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান, শসার ফলন মাত্র শুরু হয়েছে। শুরুতে ১০০ মণ শসা বিক্রি করেছেন ২০০০০ টাকায়। সবজি চাষে বছরে আয় করেন ৬ লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন, ঝড়,বৃষ্টি ও দুযোর্গের কারনে অনেক সময় লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। বিগত ২ বছর ধরে শসা চাষে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান এই কৃষক।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব নাজমুল হুদা বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১,৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে হাইব্রিড শসা চাষ হয়েছে।
মাঝে কিছুদিন শসার দাম চাষিরা পায়নি তবে বর্তমানে চাষিরা শসার ভালো দাম পাচ্ছে। কৃষকের যে কোন সমস্যায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন দপ্তর সব সময় পাশে আছেন।