যে বয়সে শিশুরা বই হাতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সেই তারা জীবন-জীবিকার কঠিন সংগ্রামে নিয়জিত হয়ে অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই মৎস্য পেশাকে গ্রহণ করেছে। ১০ থেকে ১৫ বছরের একাধিক শিশুরা মৎস্য পেশায় নিয়োজিত হওয়ার এই দৃশ্য দেখা যায় সামরাজ ঘাটে। শিশু মোস্তফা (১২) জানান, চার বছর ধরে বড় ভাইয়ের সাথে নদীতে মাছ শিকার করি। বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে কিছুদিন যাওয়ার পরে বাবা পড়া-শুনার খরচ বহন করতে পারেননি। তাই এখন নদীতে মাছ শিকার করে দিন কাটাই।
মিয়াজানপূর ৯নং ওয়ার্ডে শিশু মোস্তফার মা রাহিমা বেগম (৪৫) বলেন, নয় ছেলে-মেয়ের মাজে মোস্তফা সবার ছোট। ছোট ছেলেকে পড়া-শুনা করানোর ইচ্ছে ছিলো। অন্যান্য ছেলে-মেয়েরা সংসার থেকে আলাদা। তাদের সংসার চালিয়ে আমাদের খরচ বহন করতে পারেনা। এ জন্য সংসারে অভাব-অনটন বেশি থাকায় ছোট ছেলে লেখা-পড়া বাদ দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করে। এই কাজ ঝুঁকিপূর্ন যেনেও বাধ্য হয়ে নদীতে পাঠাই। মোস্তফার বাবা বৃদ্ধ হওয়ায় সব-সময় কাজ করতে পারেন না। ছেলে এবং বাবার আয়ের উপর নির্ভর করেই চলে সংসার।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘আজকের শিশু’ শুনুন শুক্রবার বিকেল ৫:৪০ মিনিটে। উপস্থাপনায় ফারিহা ইসলাম