দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বেদে সম্প্রদায়

জীবিকার তাগিদে হাঁট-বাজারে ও লোকের বাড়ি বাড়ি যেতে হয় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে। স্বর্নালঙ্কার খোঁজা, সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোক ফালানো, বিষ বেদনা অপসারণ ও সাপের খেলা দেখানো এসব কর্মেই গ্রাম থেকে শহরে ঘুরে বেড়ায় তারা। বর্তমানে সকল প্রকার নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আয় রোজগার কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।
উপজেলার জালাল মহাজন চৌমোহনী, দুলারহাট, শশীভূষণের বিভিন্ন পরিত্যাক্ত মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ বেদেপল্লিতে কঠিন জীবনযাপন করছেন বেদে সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে পলিথিন ও বাঁশের চেড়া দিয়ে ঝুঁপড়ি ঘর তৈরি করে চলছে তাদের বসবাস।
চরফ্যাসন পৌরসভা ৬ নং ওর্য়াড জালাল মহাজন চৌমোহনী রাস্তার মাথা সংলগ্ন বেদেপল্লীর লোকজন জানান, বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় আয় খুব কম। নদীতে তেমন মাছ নেই চাষিদেরও আয় রোজগার কম থাকায় মানুষের বাড়িতে গেলেই আজকাল তাড়িয়ে দেয়। তাই তাদের নিজস্ব পেশা থেকে সরে গিয়ে কেউ কেউ রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত হতে হচ্ছে।
বেদেনিরা বলছেন, অন্যের জায়গায় থেকে কোনো রকম দিন কাটছে। আগে প্রতিদিন সিঙ্গা লাগানো, ঝাড়ফুঁক এবং বিভিন্ন ধরনের তাবিজ কবজ এবং সাপের খেলা দেখিয়ে যে টাকা আয় হতো সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলতো। কিন্তু বর্তমানে কোনো কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। মানুষের বাড়িতে গেলেও আগের মতো আয় হয় না এতে পরিবার নিয়ে এখন কষ্টেই দিন যাপন করছে।
দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আগের মতো আয় না হওয়ায় বেদে সম্প্রদায়ের পুরুষরা নিজেদের পেশা ছেড়ে অন্য কাজে ঝুকছে এতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বেদে সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।