গৃহস্থলী কাজের পাশপাশি শখের বসে ও সংসারে বাড়তি আয়ের জোগান দিতে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নারীরা বেছে নিয়েছে দেশি জাতের গৃহপালিত পশু পালন। বাণিজ্যিকভাবে গৃহিনীরা গরু, ছাগল পালন করতে যথেষ্ট মনযোগী। এসব নারীদের মূল লক্ষ্য কর্মহীন না থেকে সংসার এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ এলাকার গৃহিনী সেতারা বেগম জানান, বসত বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। শখের বসে প্রথমে ১৮ হাজার টাকা খরচ করে দুটি ছাগল কিনে খামার শুরু করেন। কয়েকদিন পরে সেই ছাগল দুটি করে বাচ্চ দেয় । ধীরে ধীরে তার খামারে ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুদিন আগেও প্রায় ১৫টি ছাগল ছিলো। এবারের কোরবানির ঈদে দুটি ছাগল ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেন । বর্তমানে তার খামারে ৯ টি ছাগল রয়েছে এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, মূলত তার ছেলেই গৃহপালিত পশু পালনে আগ্রহী ছিলো। ছেলের অর্বতমানে এই খামারের দেখাভাল কর্মচারী ও তিনি দেখেন। ছাগল পালনে খরচ কম বলেই খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তার পরিশ্রম ও বিশ্বাস এখন সফলতা এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বড় করে ছাগল,গরুর খামার দেয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, সংসারের সচ্ছলতা আনতে বাকি সময়টুকুও কাজে লাগাতে চায় তারা। সঠিক প্রশিক্ষণ ও সরকারের সহযোগিতা পেলে গ্রাম অঞ্চলের নারীরা আরো বেশি আর্থিক সফলতা অর্জন করতে পারবে।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।