ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বর্ষার মৌসুমে জমি শসা চাষের উপযোগী হওয়ায় বেশ ভালো ফলন হয়েছে চাষিদের জমিতে। তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় শসা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় শসা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আবদুল্লাহপুর, দক্ষিণশীবা সহ চারদিকে শসা চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রথম ধাপে কিছু শসা বিক্রি করার পর আবারও শসা গাছগুলোতে নতুন করে আসছে ফুল। তাতে চাষিরা আরও খুশি।
দক্ষিণশীবা এলাকার শসা চাষি আব্দুল সাত্তার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবার ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০ গন্ডা জমিতে শসা চাষ করেছেন। বর্ষার মৌসুমে খুচরা বাজারে এখন শসার ভালো দাম রয়েছে। পুরো জমি থেকে প্রথবারের মতো ৫ মণ শসা বিক্রি করেছেন ২০ টাকা দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ মণ শসা বাজার জাত করতে পারবেন, বাজার দর ঠিক থাকলে মৌসুম শেষে ৪ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রতি কেজি শসা ২০ থেকে ২২ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ শসা পাইকারি ছয়শত থেকে আটশত টাকায় বিক্রি করছে। আবহাওয়া ভালো ও বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় এ মৌসুমে শসা চাষে আয় ভালো হবে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, প্রতিবছরই এ উপজেলায় শীতকালীনসহ সব মৌসুমে সবজি উৎপাদনে আগ্রহী কৃষকরা। ইউনিয়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফসলি জমিতে শসা, লাউ, সহ নানা জাতের সবজির চাষ করা হয়। এখানকার সবজি জেলার চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে দেশের বাহিরেও রপ্তানি হচ্ছে। ফলে সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ উপজেলাটি বিগত কয়েক বছর থেকে খ্যাতি অর্জন করেছে।
অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।