আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার। এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের গল্প শুনতে গিয়েছিলাম আমিনাবাদ ৪নং ওর্য়াড। দেখা হয় এক মায়ের সাথে যার দুই পুত্র সন্তানই প্রতিবন্ধির শিকার। রিজিয়া বেগমের (২৩) জানান, বড় সন্তানের নাম সজিব এবং ছোট্ট সন্তানের নাম সামিম। পরপর জন্ম নেওয়া দুই পুত্র সন্তান দেখে বাবা-মা দুজনের বুকে নানান স্বপ্ন বুনেন। কিন্তু দুবছরের মধ্যে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় বুঝতে পারে দুই ছেলেই প্রতিবন্ধি। বাবা সন্তানদের রেখে চলে গেলেও যেতে পারেনি মা। জানা যায় টাকার অভাবে ঠিক মতো চিকিৎসাও করতে পারেনি সন্তানের। প্রতিবন্ধি ছেলে ও তার স্ত্রীকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন স্বামী।
রিজিয়া বেগমের পাড়া-প্রতিবেশিদের বাড়িতে কাজ করেই চলে তাদের সংসার। প্রতিবন্ধি ভাতা পায় কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি তো ভালো করে বুঝিনা কোথায় যেতে হবে কি করতে হবে তাই আর আর ভাতাও পাওয়া হয়নি।
এদিকে চরফ্যাসন উপজেলার অতিরিক্ত সমাজ সেবক কর্মকর্তা মো: মামুন জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কার্ড করতে হলে জন্মনিবন্ধন বা আইডি কার্ড অথবা ডাক্তারদের সত্যায়িত সার্টিফিকেট লাগে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান বা মেম্বার সাথে অথবা সরাসরি সমাজ সেবক ধপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলেই একজন প্রতিবন্ধী ভাতার আওতাধীন হবেন।
সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন-যাপনের গল্প নিয়ে প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “ধীমান”। শুনুন প্রতি শুক্রবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে। শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় মেঘলা জাহান।