সাগরের পাশাপাশি নদীতেও ইলিশের অকাল কাটিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে ভোলার মেঘনায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে রুপালি ইলিশ। এতে এ মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছে মৎস্যবিভাগ। ছোট সাইজের ইলিশের তুলনায় বড় মাপের ইলিশ ধরা পড়ায় মুখে হাঁসি ফুটেছে মৎস্যজীবীদের। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ইলিশের মৎস্যঘাটসহ আড়ৎগুলোও।
ভোলার চরফ্যাসনের সাগর উপকূলের স্লুইস ঘাট,সামরাজসহ খেজুঁর গাছিয়ার মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ কেনাবেচা নিয়ে মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা, কেউ কেউ ঝুড়ি বা ককশিটে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন আবার অনেকে রপ্তানির জন্য ট্রাকজাত করণে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।
মেঘনার মৎস্যজীবীরা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের পর থেকে নদীতে সপ্তাহখানিক ধরে মেঘনা ও সাগর মোহনায় ইলিশ ধরা পড়ছে। এ অবস্থা থাকলে তাদের বিদ্যমান সংকট দূর হবে। অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেগুলো মিটিয়ে দিতে পারবেন। বর্তমানের বেশ বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এবং দামও বেশ ভালো থাকায় খুশি মৎস্যজীবীরা।
খেজুর গাছিয়ার মৎস্যঘাটের আড়ৎদাররা বলছেন,বিগত কয়েক মাস ইলিশের পরিমান কম থাকলেও গত এক সপ্তাহ থেকে মেঘনা নদীতে ইলিশ পড়তে শুরু করেছে। দেরিতে হলেও মাঝ-মৌসুমে চরফ্যাসনের মেঘনা নদীতে ছোট-বড় সাইজের রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি এখানকার জেলেরা। বড় সাইজের ইলিশ পাওয়ার বিষয়ে তারা বলছেন, জটকা অবরোধ মেনে চলায় ইলিশের পরিমান বাড়ার সাথে বড় মাপের ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জানান..
মৎস্য পাইকাররা বলছেন, চরফ্যাসনের মৎস্যঘাট গুলোতে কিছু আগেও ছিলো হাহাকার কিন্তু টানা বষর্ণের প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। নদী ও সাগরে ইলিশের এমন প্রাপ্যতা অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলেরা।
উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত থাকলে জেলেদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুরভীও উম্মে নিশি
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।