রাত পোহালেই উদযাপিত হবে ঈদ উল আযহা। এই ঈদকে সামনে রেখে চরফ্যাসনের দর্জি ও কারিগররা নতুন পোশাক বানাতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদ এলেই কাজের চাপে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পোশাক তৈরির কাজ ঘুমহীন,বিশ্রামহীন সময় কাটে দর্জি কারিগরদের।
বুধবার (২৮ জুন) চরফ্যাসন সদরসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার একাধিক দর্জি-প্রতিষ্ঠান ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ব্যস্ততার সম্পর্কে। ঈদ সন্নিকটে আসায় বাহারি সব পোশাক সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।
দর্জি কারিগররা জানান, পছন্দের সব পোশাক ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই অর্ডার দেওয়া শুরু পোশাক প্রেমীরা।ঈদ যত ঘনিয়ে আসে তাদের কাঝজর চাপ বাড়তে থাকে। তই রাত দিন কাজ করে ক্রেতাদের ডেলিভারির স্লিপ ধরে ধরে বুঝিয়ে দিতে হয় ঈদের আগের দিন।
তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার একটু ব্যতিক্রম। অন্যান্য বছর ঈদের পোশাকের অনেক বেশি চাপ থাকে কিন্তু এবার বেচা কেনা কম বলে অর্ডার তেমন নেই। অর্ডার কম থাকায় ঈদের আগেই ক্রেতাদের হাতে সঠিক সময়ে পৌছাতে পারবেন।
এদিকে, বস্ত্র বিতানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আযহায় বেচা কেনা খুব কম। প্রতিবছর যে পরিমান পোশাক বেচা কেনা হয়, সে তুলনায় এবার ক্রেতাদের চাহিদাও কম লক্ষ করা যাচ্ছে। তাদের ধারনা নদীতে মাছের পরিমান কম এবং কৃষিতেও লোকসান হওয়ায় এবার পোশাক কেনার আগ্রহ খুব কম। শেষ মূহূর্তেও ক্রেতাদের তেম চাপ নেই বলে জানান বিক্রেতারা।
সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।