অবশেষে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মেঘনা ও তেতুলিয়া সহ উপকূলীয় সকল নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর গত ৪ অক্টোবর থেকে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এসময়ে নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ-পরিবহন,ক্রয়- বিক্রি, মজুদ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইলিশ ধরতে জাল আর ট্রলার নিয়ে গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে আবারও নদীতে নেমেছেন মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার মৎস্যজীবীরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, এবছর চরফ্যাসন উপজেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ হাজার মেট্রিকটন। নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৪৮টি মোবাইল কোড,৫৬টি অভিযান,২৪৬ টি মাছঘাট, ৩০৩ টি আড়দ ও ৩২০ টি বাজার পরিদর্শনে ৪২ টি মামলা, ৮২ হাজার ৩০০ মিটার জালও ১ হাজার ৭২৫ কেজি মাছ আটক করা হয়েছে। এছাড়া ২৬ জন মৎস্যজীবীর ১ বছর করে জেল ৭লক্ষ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৯৭ জনকে মুসলেখা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চরফ্যাসন নতুন সুলিজের জেলে কাঞ্চন ও জেলে পরিবার বলেন, ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এখন নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। এতদিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে যাননি। এবার তাঁরা আশা করছেন আয় ভালো হবে এবং ধারদেনাও পরিশোধ করতে পারবেন।
চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হেসেন মিনার জানান, গত ৪- ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। এখন মাছ ধরা শুরু হয়েছে আশা করা যাচ্ছে এবছর ইলিশের কাঙ্খিত উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।
সুরভী ও অধরা।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।