বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই একুশ শতকে এসেও মাসিক নিয়ে আমাদের দেশে যে রাখঢাক, তা পরিস্থিতিকে শোচনীয় করে রেখেছে। এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার সময় হয়েছে।

মেয়েদের সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন পরপর পিরিয়ড হয়। প্রতি পিরিয়ডের সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। ব্যক্তিভেদে পিরিয়ডের সময় তিন দিন থেকে সাত দিন থাকে। তবে ব্যতিক্রমও হতে পারে। পিরিয়ড নিয়ে মেয়েদের নানা ধরণের সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে যে সমস্যাটি বেশি হয় সেটি হলো অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।

কিশোরীদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, “কিশোরী বা নারীদের ঋতুস্রাবের সময় রক্তক্ষরণ স্বাভাবিক। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনোরেজিয়া। ২১ দিনের কম সময়ে অথবা ৩৫ দিনের বেশি সময়ে রক্তক্ষরণ হওয়া অথবা সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে বুঝবেন মেনোরেজিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে, রক্তস্বল্পতা, ক্লান্ত, অবসাদ অনুভব এমনকি শ্বাসকষ্ট হতেও দেখা যায়। প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয়ের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদি কোন কিশোরী বা নারীর পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয় সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম করতে হবে, নিয়মিত পুষ্টিকর ও আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার, যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে।” ঋতুস্রাবের সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিলেন ডা. নুসরাত জাহান।

বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরদের শারীরিক যত্ন ও পরির্বতন নিয়ে রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “আমরা কিশোর কিশোরী” শুনুন প্রতি সোমবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে। শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ।

উপস্থাপনা ও সম্পাদনায় সুরভী এবং প্রযোজনায় উম্মে নিশি।