বাবা একজন কৃষক, মা গৃহিনী। সামান্য আয় দিয়ে চলে ৫ জনের এই সংসার। দু’বেলা ঠিকমতো খাবার পেলেও ৩ সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করা যেন এই বাবার পক্ষে বড়ই কঠিন। তাই দুই ভাই-বোন এবং নিজের পড়াশোনা খরচ চালাতে নিতে হয় সংসারের বড় মেয়েকেই নিজের কাঁধে দায়িত্ব।

বলছি হালিমাবাদ ৩নং ওয়ার্ডের সুমাইয়ার কথা। যার বয়স ১৬, পড়াশোনা করছেন দশম শ্রেণীতে। মায়ের অধীর আগ্রহের জন্য দুই বছর আগে সুমাইয়ার সেলাইয়ের কাজ শিখা। শুরুতে কাজের প্রতি তার আগ্রহ না থাকলেও যেন পরে তার এই কাজই ভাগ্য বদলের পথে।

সুমাইয়া জানান, “বাবা কৃষি কাজ করে আমাদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তখন সেলাই না শিখলে সুমাইয়ার হয়তো পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত।” সুমাইয়া এখন প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৩-৪ হাজার টাকা ইনকাম করেন সেলাই করে। যা দিয়ে তার নিজের পড়াশোনার সকল খরচসহ ছোট ভাই বোনকেও সাহায্য করে থাকেন। এছাড়াও যখন সেলাইয়ের অর্ডার বেশি আসে তখন পারিবারিক কাজেও সাহায্য করেন।

সুমাইয়া বলেন, “পড়াশোনা করে অনেক বড় হতে চাই। পারিবারিক দারিদ্রতা আমার পড়াশোনায় কখনো ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। পড়াশোনা এবং সেলাইয়ের কাজ ভবিষ্যতে চলমান থাকবে।”