সম্পর্কে সাধারণত ১৮ বছর বয়সের আগে যদি কোনো কিশোরী ও ২১ বছর বয়সের আগে কোনো কিশোরের বিয়ে হয় তাহলে তাকে বাল্য বিয়ে বলা হয়। “বাল্যবিয়ের ঝুঁকি” বিষয়ে কথা হয় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহাবুব কবির এর সাথে। তিনি জানান, কৈশোর বয়স মানসিক বিকাশের জন্য উপযুক্ত সময়। এ সময়ে যদি কোনো কিশোরীর বিয়ে হয় তাহলে সে প্রথমত মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে, পাশাপাশি সে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়বে। এছাড়াও অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে মা ও শিশু অপুষ্টির শিকার হয়ে হুমকির মুখে থাকতে পারে। বাল্যবিয়ে হলে একজন কিশোরীর মা হওয়ার জন্য যে শারীরিক ক্ষমতা বা পুষ্টিগুণ থাকা প্রয়োজন তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাছাড়া একটি শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য মাতৃগর্ভে যতটুকু জায়গার প্রয়োজন সেটুকু না পাওয়ার ফলে দ্রুত গর্ভপাত  হতে পারে বলেও জানান তিনি।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলে, বাল্য বিয়ে আমাদের দেশের একটি সামাজিক ব্যাধি। দারিদ্রতার কারণে বাবা মায়েরা তাদের সন্তানের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন। অনেক পরিবাবে দেখা যায়, ছেলে-মেয়েরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছালেই বিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া কিশোর কিশোরীরা নতুন করে ভাবতে পারবে না। তাই আমাদের আশেপাশে যখনই কারো বাল্যবিয়ে হতে দেখব তখন একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তা প্রতিরোধ করার পদক্ষেপ নেব।  এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমরা শিক্ষিত জাতি গঠন করতে সক্ষম হবো বলে জানান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

এছাড়াও তিনি জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের জন্য মোবাইল কোড পরিচালনা করা হয় এবং এই অপরাধের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে কাউকে তিন মাস, ছয় মাস ও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় আবার কাউকে আর্থিক জরিমানাও করা হয় বলে জানান, অফিসার ইনচার্য মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

শিশুদের সঠিক জীবন-যাপন নিয়ে রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “আজকের শিশু”। শুনুন ৯৯.০ এফএম এ সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:০০টায়।

উপস্থাপনায়: ফারিহা ইসলাম, প্রযোজনায়: উম্মে নিশি।