দারিদ্রের কষঘাতে জর্জরিত বেতুয়া পাড়ের মৎস্যপল্লীর জনজীবন। অভাবের তারণায় মৎস্যপল্লীর প্রায় সব ছেলেরা একটু বড় হলেই বাবার সাথে মাছ ধরতে নদীতে যায়, আর মেয়ে হলে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত কোন রকম পড়ালেখা করে মায়ের সাথে সংসারের কাজে লেগে যায়। এমনি গল্প শুনতে একদিন সকালে উপস্থিত হই বেতুয়া মৎস্যপল্লীতে। কথা হয় সেখানকার জেলে নারীর শারমিন বেগমের সাথে। তিন জন সন্তান নিয়ে সংসার তার। বড় ছেলের বয়স মাত্র ১১ বছর। আর এত কম বয়সে পড়ালেখা না করে সংসারে অভাবের কারণে বাবার সাথে মাছ ধরার কাজে যুক্ত হয়েছেন। শুধু শারমিন বেগমের ছেলেই নয়, এ পাড়ার প্রায় সকল ছেলে সন্তানরা একটু বড় হতে না হতেই নদীতে জেলে কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যান। এদিকে কথা হয় মৎস্যপল্লীর ২১ বছর বয়সী আরেক জন মা সাবরিন আক্তারের সাথে। জানা যায়, ৭-৮ বছর আগে বিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। ভালোই যাচ্ছিল সাবরিনের দাম্পত্য জীবন। বিয়ের পর বছর খানেকের মাথায় ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান তার ঘরকে আলোকিত করে সুখের জীবনকে আরো সুখকর করে তোলে। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন অব্যাহত থাকেনি। এখন থেকে ২ বছর থেকে ভরণপোষণ দিচ্ছেন না তার স্বামী, খোঁজ খবরও নেন না। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের সময় টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন সাবরিন আক্তার। এই সময়টিতে ছেলেকে নিয়ে দু বেলা দু মুঠো খাওয়ার জন্য তিনি জেলেদের জাল মেরামত করে দৈনিক ২০০-২৫০ পেয়ে থাকেন।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘জেলেজীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যেোগ’। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছে বৃহঃস্পতিবার বিকেল ০৫:৪০ মিনিটে। শুধুমাত্র ৯৯.০ এফএম এ।
উপস্থাপনায় ও সম্পাদনায় লাবনী হোসেন। প্রযোজনায় মৌসুমী মনীষা।