কেউ করছেন গাছের পরিচর্যা, কেউবা ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। এভাবেই চলছে তরমুজ চাষাবাদের কর্মযজ্ঞ। আর এই কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে চরফ্যাসন উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং তরমুজে ভাইরাস রোগের প্রার্দূভাব না হওয়ায় চাষিরা তরমুজের ভালো ফলন পাচ্ছে। বাজারজাত করতে ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় আগাম তরমুজ কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে তরমুজ উঠতেও দেখা যাচ্ছে। তবে এখনো কিছু কিছু জায়গায় তরমুজ কাঁটা শুরু হয় নি।
চরফ্যাসন উপজেলার কুতুবগঞ্জ ১নং ওয়ার্ডের তরমুজ চাষী মফিজুল ইসলাম বলেন, ২ কানি জমিতে তিনি প্রায় ৪ লক্ষ লাখ টাকা খরচ তরমুজ চাষ করেছেন। রোজার আগেই বাজারজাত করা যাবে এমনটাই জানান তিনি। এ বছর বীজ ও সারের দাম একটু বেশি, এজন্য খরচও বেশি হচ্ছে। বাজার ভালো থাকলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে চরফ্যাসন উপজেলায় তরমুজের চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু ১৫ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হচ্ছে।
প্রথম দিকে বাজারে তরমুজ দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরা স্বস্তিতে রয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরো বাড়বে। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে তরমুজের কদর তুঙ্গে থাকে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় মাঠে তরমুজের অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে।
অধরা ইসলাম ও তাপিয়া
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।