মাছ চাষ করে লাভবান হওয়ার জন্য পরিমাণমত, সময়মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে। খাদ্যের ঘাটতি হলে মাছের দৈহিক বৃদ্ধি কমে যাবে। আবার পুকুরে অতিরিক্ত খাদ্য দিলে খাদ্য পচে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাবে। মাছের চলাচল স্বাভাবিক হলে খাদ্য প্রয়োগ স্বাভাবিক করতে হবে।
পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের মো: কামাল উদ্দীন (৫৩) প্রায় কুড়ি বছর যাবৎ মৎস্য চাষের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি জানান, সাদা মাছ চাষ করতে হলে প্রথমেই পুকুর প্রস্তুতের বিষয় আগে করতে হবে। যেমন: পাড় নির্মান, অতিরিক্ত কাঁদা অপসারণ, পুকুরে চুন প্রয়োগ। তবে চুন প্রয়োগের পাঁচ-সাত দিন পর ইউরিয়া ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। এর পরে পুকুরে মাছ দিতে হবে। একটি পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রে সম্প‚রক খাবার দিতে হবে ৬০ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক খাবার দিতে হবে ৪০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক চাষি প্রাকৃতিক খাবার সম্পর্কে ধারণা নেই। মৎস্য চাষ শুরু করার আগে অবশ্যই এ ব্যাপারে সঠিক ধারণা থাকা জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনকে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। একটি হচ্ছে চাষের উৎপাদন, অন্যটি হচ্ছে প্রাকৃতিক উৎস থেকে উৎপাদন। একজন খামারি যদি দ্রæত বেশি ওজনের মাছ পেতে চায় তাহলে খামারটিকে রোগ মুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য মাছ ধরা শেষে অবশ্যই পুকুর পুরুপুরি শুকিয়ে ফেলতে হবে, কারণ পুকুরের সবচেয়ে দ‚ষিত অংশ থাকে পুকুরের তলায়।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান, “জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দ‚র্যোগ শুনুন প্রতি বৃহস্পতিবার। শুধু মাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম। উপস্থাপনায় লাবনী হোসেন, সাক্ষাৎকার গ্রহনেঃ তাসপিয়া, প্রযোজনায়: মৌসুমী মনীষা।